বগুড়ার নন্দীগ্রামে বঙ্গবন্ধু চত্বরে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশের বিশেষ অভিযানে বগুড়ার শেরপুর, দুপচাঁচিয়া ও শিবগঞ্জে আরও ৩২ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নন্দীগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। এরপর রাতে বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই এ ঘটনায় বিএনপির ৪ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পরপর রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নন্দীগ্রাম পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু মিঞা (৪৬), ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি যোবায়ের আহম্মেদ রাজা (৩৪), সদস্য আশরাফুল ইসলাম (৩৮), বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেন (৪৫), জিয়াউল হক (৩৬) ও ফুলবর রহমান (৪৫)।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শনিবার রাতে বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বিএনপির চার নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলায় আজ ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়।

এ ছাড়াও রোববার শেরপুরের তিন বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ। এদের মধ্যে শনিবার উপজেলায় পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হন বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে পাশা, আব্দুর রাজ্জাক ও মাহবুব রহমান।

শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বরের উপজেলার হাসপাতাল রোড এলাকায় মোজাহার স্মৃতি সংসদে এক হামলা ও বিস্ফোরণ মামলার আসামি।  

এদিন দুপচাঁচিয়াতে গত জুলাই মাসে দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আর শিবগঞ্জে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন জামায়াত-শিবিরের ১১ জন নেতাকর্মী। তাদের গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার আমতলী বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/আরএআর