মাতারবাড়ির পথে ভেনাস ট্রায়াম্প

দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ি জেটিতে ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ ভেনাস ট্রায়াম্প। পানামার পতাকাবাহী ১২০ মিটার লম্বা ও ৯ হাজার ৬৮০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজটি মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সমুদ্রবন্দরের প্রথম অস্থায়ী জেটিতে পৌঁছে।

গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার ‘পেলাভুবন সিলেগন’ বন্দর থেকে মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে রওনা দেয় জাহাজটি। ঘণ্টায় ১১ নটিকেল মাইল গতিতে চলা এ জাহাজ সাতদিন পর বন্দরে ভিড়েছে।

জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতা) সাড়ে পাঁচ মিটারের বেশি। বন্দরের গভীরতা সাড়ে ৮ মিটার। যার ফলে জাহাজটি সহজে বন্দরের জেটিতে ভিড়তে পেরেছে।

মাতারবাড়ি ভিড়েছে ভেনাস ট্রায়াম্প

চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আতাউর সিদ্দিকী ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রায় ৭ দিন চলার পর জাহাজটি অবশেষে দেশের একমাত্র সমুদ্র বন্দরে ভিড়েছে। ঘণ্টায় ১১ নটিকেল মাইল গতিতে জাহাজটি মাতারবাড়ি এসেছে। আসা করছি এ বন্দরে বগ জাহাজ ভিড়তে আর কোনো সমস্যা হবে না।

বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য কৃত্রিম চ্যানেল খনন করে জাহাজ ভেড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। পরে সেটিকে সমুদ্র বন্দরের রূপ দিতে কাজ শুরু করে সরকার। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। দুই ধাপে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে। এর জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার পর এই বন্দরে ভিড়তে পারবে ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজ।

মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ করছেন ১৭টি দেশের ৭ শতাধিক বিদেশি শ্রমিক। এছাড়াও ৩ হাজার ৮০০ জন দেশের বিভিন্ন এলাকার শ্রমিক রয়েছেন।

এসপি