নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পানচুরখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মতিন, পুলিশ কনস্টেবল নুরুলসহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া আরও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিএনপির তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর আগে সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অবরোধের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালায় অবরোধকারীরা। এসময় মিছিলে অবরোধের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

পরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ ও তার ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের নির্যাতন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছেন, সমালোচনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই অত্যাচার ও মামলার খড়গ নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত তার সপক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

রিজভী বলেন, নজিরবিহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও খুনের শিকার হয়েও বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলো সহিংসতার পথ বেছে নেয়নি। নেতাকর্মীরাও শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন। বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একত্রে জোর আন্দোলন গড়ে তুলেছে।

এমজেইউ