গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর মরদেহ দাফন না করে বাঁধে ফেলে গেছেন খোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম। 

এর আগে সকালে উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের খামার বাগছী এলাকার বাঁধ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ। তার নাম শারমিন খাতুন (২৩)। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মাহবুব আলম জানান, শারমিন খাতুন দীর্ঘদিন থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য খোকন মিয়া গ্রামে গ্রামে ভ্যানযোগে সাহায্য তুলে বেড়াতেন। যে অর্থ পেতেন তা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সংসার চলতো। প্রতিদিনের মতো গতকালও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বের হন। পরে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামে গেলে তার স্ত্রী মারা যান। পরে ওই এলাকার লোকজন আর্থিক সহযোগিতা করে মরদেহ দাফনের জন্য খোকনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু খোকন মিয়া স্ত্রীর মরদেহ দাফন না করে খামার বাগছী এলাকার বাঁধে ফেলে রেখে যান। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা এক নারীর পরিত্যক্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু বিষয়টি এখনো বলা যাচ্ছে না। মরদেহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এখন পর্যন্ত যেহেতু ওই নারীর স্বামী আসেননি, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রিপন আকন্দ/আরএআর