সালথাজুড়ে এখন পড়ে আছে শুধুই ক্ষত চিহ্ন, উপজেলা সদরের বাতাসে পোড়া গন্ধ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কাচ আর আসবাবপত্রের টুকরা

ফরিদপুরের সালথায় সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আসলাম মোল্লা।

তিনি জানান, তদন্তে ক্ষয়ক্ষতির যে বিবরণ পাওয়া গেছে, তাতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, সালথার সহিংসতার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রোববার একটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরো জানান, এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. তাসলিমা আলীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন জমা দিতে আরও দুই দিন সময় লাগবে।

এদিকে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১ জনে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, সালথার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মিরান মোল্লা (৩৫) নামে একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া দুইজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন। তাদের পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জামাল পাশা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সহিংসতার ঘটনায় সালথা থানায় মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে।

বি কে সিকদার সজল/এমআইএইচ/জেএস