চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৩৩৩ মেট্রিক টন ভারতীয় আলু আমদানি হয়েছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সারদিনে ১২টি ভারতীয় ট্রাকে এসব আলু এসেছে। এদিকে, আমদানি করা ভারতীয় আলু চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৪-৩৬ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও দেশি আলু খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকা দরে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী জানান, রোববার সারাদিনে ১২টি ভারতীয় ট্রাকে ৩৩৩ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। গত দুই দিনের ন্যায় রোববার তৃতীয় দিনেও আলু আমদানিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। সরকারের আলু আমদানির সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু আসছে। মাঝে শুক্রবার ছুটির দিনে হওয়ায় বন্ধ ছিল। শনিবার আবারও আলু আমদানি শুরু হয়েছে। 

আলু আমদানির পর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করে দাম। গত বৃহস্পতিবার ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এক দিনের ব্যবধানে শনিবার থেকে দেশি আলুর বাজারমূল্য নেমে আসে ৪০ টাকায়।

আলু ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় আলুর আড়ৎ পুরাতন বাজারে রোববার দেশি আলু পাইকারি বাাজরে বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা করে। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ৪১-৪২ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ভারতীয় আলু পাইকারি বাজারে ৩৩-৩৪ টাকা ও খুচরা বাজারে ৩৪-৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

খুচরা বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আলুর দাম কমতে শুরু করে। এরপর ভারতীয় আলু আসতে থাকায় ধীরে ধীরে আরও দাম কমছে। এভাবে আলু আসতে থাকলে দু-এক দিনের মধ্যেই ৩০-৩২ টাকায় নামবে আলুর দাম।

রোববার পর্যন্ত ৩৩ ট্রাকে মোট ৯০০ মেট্রিক টন ভারতীয় আলু আমদানি হয়েছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এর আগে শনিবার (০৪ নভেম্বর) ১৯টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ৫১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। দেশে প্রথমবারের মতো গত বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাকে আসে ৫২ মেট্রিক টন আলু। সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২১ জন আমদানিকারক ১৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছে। 

জাহাঙ্গীর/এমএএস