পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে হরতালবিরোধী মিছিলে যুবলীগ নেতার রামদা (দেশি অস্ত্র) নিয়ে মহড়া দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রকাশ্যে রামদা হাতে মিছিল করা ওই যুবলীগ নেতার নাম কাওসার ফরাজী। তিনি মৌডুবি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। রামদা হাতে নিয়ে তার মিছিল করার ৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে পোস্ট করে ওই ইউনিয়নেরই ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগ কর্মী আরিফ রহমান। সেখানে তিনি ক্যাপশনে লিখেন ‘ছোট একটি সতর্কবার্তা।’

অবশ্য, বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ফেসবুক থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামদা হাতে নিয়ে মিছিল করার বিষয়টি স্বীকার করে মৌডুবি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাওসার ফরাজী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমাদের মৌডুবী ইউনিয়নে অনেক ভাঙচুর করেছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদ মিছিল করেছি। তারা যে তাণ্ডব চালিয়েছে সেই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছি।

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া ঠিক কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তারা আমাদের অফিস ও ঘর ভেঙেছে। তাহলে আমরা কোথায় যাবো। তারা আমাদের একজন আওয়ামী লীগ ছেলেকেও মেরেছে। 

রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি জামাতের তাণ্ডবের প্রতিবাদে কোনো একজন অতি উৎসাহী হয়ে এরকম কাজ করেছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী বলেন, চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশে এরকম রামদা নিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করেছে তারা। এরা চাচ্ছে রামদার ভয় দেখিয়ে আমরা যেন রাঙ্গাবালীতে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে না পারি। তারা নিজেদের আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভেঙে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি ভিডিও দেখেছি, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াতের হরতালবিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর উপজেলার মৌডুবি বাজারে মিছিলটি বের করা হয়।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এএএ