গাজীপুরে কারখানায় আগুন, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে শ্রমিকদের আন্দোলনে অংশ নেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই ছাত্রদল নেতা।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) জিয়াউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আহসানউজ্জামান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম।

গ্রেপ্তার মো. মোশারফ হোসেন (২৭) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইছুটি গ্রামের মো. সুরুজ আল মামুনের ছেলে। রিপন কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ কমিশনার জানান, গাজীপুর জেলার বিভিন্ন শিল্প কল কারখানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন যানবাহনে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। গত ১ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক গাজীপুরের শ্রমিক আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের বিস্তারিত বর্ণনা দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরে জড়িত সকল দুষ্কৃতিকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তারা।

সফিপুরের লিডা ও ফর্টিস গার্মেন্টসের ভেতর গাড়ি ভাঙচুর ও দাহ্য পদার্থ ঢেলে গাড়িতে আগুন দেয়। পরে পুলিশ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে মো. রিপন হোসেন নামে এক যুবককে চিহ্নিত করে। পরে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ নভেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে কালিয়াকৈরের লিডা ও ফর্টিস গার্মেন্টস এবং কোনাবাড়ীর এবিএম ফ্যাশন্স লিমিটেডে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অংশ নেয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও চারটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হবে বলে পুলিশ কমিশনার জানান।

শিহাব খান/এএএ