বরিশাল-২ (বানারীপাড়া উজিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহে আলম তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধীর সন্তান। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলার ৩২ মুক্তিযোদ্ধা।

লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী ডাক্তার সায়েদউদ্দিন তালুকদারের ছেলে শাহে আলমকে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা হতবাক হয়েছিল। তবুও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকার সম্মানে তারা শাহে আলম এমপির পক্ষে কাজ করেন।

মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার পরিবারের পথ অনুসরণ করেছে। জনগণের কথা না ভেবে নিজেই বিত্ত-বৈভবের পাহাড় গড়েছেন। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে সহযোগিতা করেননি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতার সমাধী গুড়িয়ে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার বাসভবন ভেঙেছে। স্কুলের নামের জমি দখল করেছে। রাজাকার নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সংসদ সদস্য শাহে আলমের বাহিনী বানারীপাড়া বন্দর বাজারে হাতুড়িপেটা করেছে। বানারীপাড়া উপজেলার তেতলা গ্রামের বেশকিছু হিন্দু পরিবারকে ভিটে ছাড়া করেছে। খাল দখল করে বাড়ি ও প্রাচীর নির্মাণ করেছে। শশ্মানের জমি দখল করে গ্যারেজ ও বৈঠকখানা নির্মাণ করেছে। তাই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড অবসানের লক্ষ্যে শাহে আলম যুদ্ধাপরাধী পরিবারের কাউকে এমপি হিসেবে চায় না মুক্তিযোদ্ধারা।

অভিযোগের বিষয়ে মো. শাহে আলম এমপি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি চক্র মিথ্যা ছড়াচ্ছে। আমার বাবা যুদ্ধাপরাধী হলে তার বিচার হতো। আর আমি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছি। এমনকি নেত্রী আমাকে বরিশাল-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস