মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়ছে। বতর্মানে শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহন আটকে রয়েছে।

এর আগে, রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকামুখো যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকলেও দুপুর থেকে ঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপও বাড়ছে।

জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে স্পিডবোট চলছে। তবে অধিকাংশ যাত্রী ট্রলারযোগে ঘাট পার হচ্ছেন। এতে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ট্রলার ভাড়া ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, লকডাউন উপেক্ষা করে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন। তাই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বাড়ি ফিরতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। ১৩টি ফেরিতে করে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে এতো বেশি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। এতো বলাবলি করেও যাত্রীদের সচেতন করা যাচ্ছে না। ফেরিতে গাদাগাদি করে উঠা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না।

এ সময় তিনি আরও বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা করেছে। তবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করে ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছে। এতে করোনা মারাত্মকভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে। মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে ঘাট থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো.হিলাল উদ্দিন জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘাটে মাত্র দুই থেকে আড়াই শতাধিক যানবাহন ছিল। সোমবার সকাল থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে করে যাত্রীরা পারপার হচ্ছে। ঘাটে প্রায় ৭ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। 

তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন নেই। ছোট ছোট গাড়িতে করে যাত্রীরা ঢাকা থেকে ঘাটে আসছেন। ছোট গাড়ি করেই মাদারীপুর থেকে তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন। সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। নাহলে যাত্রীরা কোনো না কোনো যানবাহনে ঘাটে চলে আসবে।

ব.ম শামীম/এসপি