প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে সাড়ে ৬২ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দরে ভিড়েছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি মানা’। মোংলা বন্দরের ৭২ বছরের ইতিহাসে এটিই কয়লার সবচেয়ে বড় চালান। এত পরিমাণ কয়লা নিয়ে এর আগে কোনো জাহাজ ভেড়েনি বলে দাবি মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের।

গত রোববার (৫ নভেম্বর) বন্দরের ফেয়ারওয়েতে জাহাজটি নোঙর করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেয়ারওয়েতে নোঙর করা ওই জাহাজ থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টন কয়লা খালাস করা হয়। এরপর বাকি ২৯ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি বন্দরের ২ নম্বর বয়ায় নোঙর করে। দু-একদিনের মধ্যে পুরোপুরি কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করবে বিদেশি এই জাহাজ। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার বোন টাং বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।

বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি মানা’-র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট সুলতান শিপিং লাইনসের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক রাজু বলেন, এই জ্বালানি কয়লাগুলো একটি বেসরকারি কোম্পানির জন্য আমদানি করা হয়েছে। খালাস শেষে ছোট লাইটার জাহাজে করে খুলনার রূপসায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দরের আউটবারে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে বড় চালানের পণ্য নিয়ে অনায়াসেই গভীর ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। গত ৫ নভেম্বর আসা বিদেশি ওই জাহাজে ৬০ হাজার ৫০০ টন কয়লা আসে। ফেয়ারওয়েতে নোঙর করা ওই জাহাজ থেকে ৩১ হাজার ৫০০ টন কয়লা খালাস করা হয়। এরপর বাকি ২৯ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি বন্দরের ২ নম্বর বয়ায় নোঙর করে। দু-একদিনের মধ্যে পুরোপুরি কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করবে এই জাহাজ।

তিনি আরও বলেন, নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীশাসনের ফলে গভীর ড্রাফটের যেকোনো জাহাজ এখন বন্দরে ভিড়তে পারছে। এ ছাড়াও যেকোনো পণ্য খালাস ও হ্যান্ডলিং করতে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এই বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করায় এই বন্দর ব্যবহারে বিদেশিরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

শেখ আবু তালেব/এএএ