রাঙামাটিতে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু, বিভিন্ন অফিসের প্রধান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল আমিন, গতকাল শনিবার ভারতের কাশ্মীরের ডাল লেকের আগুনে ৩ বাংলাদেশির মৃত্যুর বিষয়টি সভায় উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ কৌশল ও কাপ্তাই সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার লোপা মুদ্রার স্বামী প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত ও তাদের এক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে হাউজবোটে কোনো নীতিমালা না থাকায় দিন দিন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে উঠছে হাউজবোট। কে কোথায় রাতে থাকে, কীভাবে থাকে, তাদের নিরাপত্তা কি, সেই বিষয়গুলো আমাদের জানা নেই। তাই তারা রাতে কোন ঘাটে থাকে তাও আমরা জানি না। হাউজ বোটগুলো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কীনা, সেগুলোর একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন।

সভায় জেলার আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচন হয়। সভায় জানানো হয়, আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বর মাসে ৮টি মামলা কম হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে খুন ১টি, অস্ত্র আইনে ১টি, মাদকদ্রব্য আইনে ২১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ৫টি ও অনান্য ৭টি সহ মোট ৩৫ টি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে রাঙামাটিতে। সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন সবাই।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে যেসহ হাউজ বোট আছে সেগুলোর দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাউজ বোট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা তৈরি করা হবে। যাতে কাশ্মীরের মতো কোনো ঘটনা কাপ্তাই হ্রদে হাউজ বোটে না ঘটে।

একই সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ, শহরের যানজট ও চীবর দানের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়।  

মিশু মল্লিক/এমএএস