সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন ১০০ নেতাকর্মী। দেশব্যাপী চলা হরতাল-অবরোধে জ্বালাও পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যোগ দেন তারা। দল ত্যাগ করা নেতাকর্মীরা বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা।

রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে ফুল দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে দলে বরণ করে নেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন।

জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া আহমদ সুমনের নেতৃত্বে ওই অনুষ্ঠানে ১০০ জন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তবে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করা ব্যক্তিরা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করেছে বলে দাবি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির।

আওয়ামী লীগে যোগদানকারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াহিয়া আহমদ সুমন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হরতাল-অবরোধে বাসে অগ্নিসংযোগ করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছেন অন্যদিকে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করছে। সেটি আমরা মেনে নিতে পারিনি, বিএনপির রাজনীতি উন্নয়নের স্বার্থে হলে আমরা দল ত্যাগ করতাম না। কিন্তু বাসে আগুন দেওয়া, পুলিশ মারা এসব কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে স্বাগত জানানো শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনদের আওয়ামী লীগে যোগ দানে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই। রোববার ১০০ বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। আমরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেছি। দেশের উন্নয়ন দেখেই মানুষ দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগদান করছে। তারা বিএনপির জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি চান না বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এরা শুধু নামেই বিএনপির,  কোনো কাজের না। কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশ নেয় না। নিজেদের আলোচনায় আনার জন্যে আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিয়েছে। বিএনপিকে বদনাম করার জন্য এটা আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক।  

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন, ১০০ জন নেতাকর্মী বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বিষয়টি জেনেছি। এখানে যাদের আমরা দেখেছি তারা অনেক বছর যাবত বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। কোনো মিছিল সমাবেশে তাদের আমি দেখিনি, তাছাড়া আমার মনে হয় তারা ফায়দা লুটার জন্য আওয়ামী লীগে যোগদানের নাটক করেছে। 

সোহানুর রহমান সোহান/আরএআর