সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রজমানের রোজা। এ সকল গ্রামের মানুষ প্রথম রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে সাহরি খেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. খাজা বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজলোর বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯৩ বছর ধরে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. খাজা বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর যেখানেই চাঁদ দেখা যাক সেটা ধরে রোজা, ঈদসহ ধর্মী অনুষ্ঠানগুলো পালন করি। এটি আমাদের পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে। তাই সোমবার রাতে প্রথম সাহরি খাই এবং মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখা শুরু করছি।

তিনি আরও বলেন, আগে চাঁদপুর জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই রীতি মেনে চললেও বর্তমানে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই রীতি পালন করছেন।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এ ছাড়াও চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

শরীফুল ইসলাম/এসপি