নাজমুল হোসেন

কুমিল্লায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় চালককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ঘাতক নাজমুল হোসেনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।

নাজমুল হোসেন জেলার বরুড়া উপজেলার ইলাশপুর এলাকার নজির মিয়ার ছেলে। আর নিহত অটোরিকশাচালক মেহেদী হাসান (১২) বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের বাঁশতলী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বরুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার (১৯ নভেম্বর) অটোরিকশাচালক মেহেদীর কাছে আসেন নাজমুল। পার্শ্ববর্তী আদর্শ সদর উপজেলার কালিবাজার এলাকায় যাওয়ার জন্য ভাড়া ঠিক করে রওয়ানা হন। পরে কালির বাজার গিয়ে চালককে পাশের লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া থেকে চারা গাছ নিয়ে আসার কথা বলেন।

ঘাতক নাজমুল ও অটোরিকশাচালক মেহেদীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তিনি যেতে রাজি হন। পরে পাহাড়ের ঝোপের ভেতর নিয়ে গিয়ে নাজমুল তার কোমরে লুকিয়ে রাখা চাকু বের করে প্রথমে মেহেদীর পেটে দুটি আঘাত করে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলা কেটে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার অটোরিকশা নিয়ে নাজমুল নিজের শ্বশুরবাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর চলে যান। 

এদিকে বাড়ি ফিরে না আসায় নিহত মেহেদীর স্বজনরা তার খোঁজ শুরু করেন। পরে নিহত মেহেদীর বাবা স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন নাজমুল কালি বাজার যাওয়ার জন্য অটোরিকশা ভাড়া করেন। পরে নাজমুলকেও খুঁজে না পাওয়ায় মেহেদীর বাবা বাদী হয়ে বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

সোমবার (২০ নভেম্বর) পুলিশ নাজমুলের অবস্থান সনাক্ত করে। পুলিশ জানতে পারে ঘাতক নাজমুল তার শ্বশুরবাড়ি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওসি আরও বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন নাজমুল। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মরদেহের অবস্থান জানায়। পরে সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে লালমাই পাহাড়ের হাতিগাড়া কবরস্থানে অটোরিকশা এবং জঙ্গলের ভেতর থেকে মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করে ঘাতক নাজমুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। 

আরিফ আজগর/এনটি/এমজেইউ