সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে এবার মদকে মেডিসিনের সঙ্গে তুলনা করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। এ সময় তিনি মদকে হালাল ব্যবসা বলেও মন্তব্য করেন।

ফিরোজুর রহমান ওলিও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হিসেবে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পদত্যাগ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর তার স্বাক্ষরিত লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে লড়তে পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি ওই পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে নির্বাচন নিয়ে সোমবার (২০ নভেম্বর) মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে কথা বলেন ফিরোজুর রহমান ওলিও।

লাইভ চলাকালে সজিবুল হুদা ভূঁইয়া নামে একজন লিখেন, ‘আপনি এমপি নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মদের বার খুলবেন কি?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘ঠিক আছে। এমপিরাই মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। এই দেশে বিখ্যাত মদের কারখানা বানায় রাখছে। আগে তো রেলস্টেশনে মদের দোকান ছিল। তুমি যদি আবদার করো তাইলে দেব (ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়)। তবে তোমরা এ মদ খাইতে পারবা না। সেই শক্তি তোমাদের হইছে না।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। এটা মেডিসিন হিসেবে খায়। তোমার যদি ইয়ে থাকে, ডাক্তার বললে ব্যবস্থা করে দেব। আমরা তো ঘুষ খাই না। আমরা তো মানুষের মনে আঘাত দিই না। আমরা কথা বললে সরকারকে জিগাইবা কেন দেয়। আর আমার ব্যবসা পবিত্র ব্যবসা। আমি হালাল ব্যবসা করি। আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। সরকারই নাইলে বেহালাল হবে।’

আরেকজনের প্রশ্নের জবাবে ওলিও বলেন, ‘ইসলাম কি বলে না বলে সেটা সরকার বুঝবে। ভালো কথা বলো।’ একথা বলে তিনি হেসে দেন। আরেকজনের প্রশ্নের জবাবে সে কিছু খাইছে কি না প্রশ্ন করেন।

৩৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের লাইভে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরবর্তী সংসদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী বানানোরও দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফিরোজুর রহমান ওলিও পাঁচবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। রাজধানী ঢাকায় তার একাধিক মদের বার রয়েছে। মূলত এ ব্যবসার মধ্য দিয়েই ফিরোজুর রহমানের উত্থান বলে মনে করা হয়।

এমজেইউ