দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের এক বছরেও শুরু হয়নি নির্মাণকাজ। মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়রা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

জানা যায়, সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর ধারবাহিকতায় গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুরের বাস্তবায়নে চিরিরবন্দর উপজেলা তিনতলা মডেল মসজিদটির প্রথম ধাপে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। পরে নতুন করে দরপত্র আহ্বাব করে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

স্থানীয়রা জানায়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবরে উপজেলার স্টেশন রোড চিরিরবন্দর মহিলা কলেজ গেট সংলগ্ন সড়কের পশ্চিম পাশে মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এমপি)। এটি উদ্বোধনে পর আর কোনো কাজ করেনি ঠিকাদার। হঠাৎ করে গত দুই থেকে তিন মাস আগে খাল খননের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করে। কিন্তু ১০ থেকে ১২ দিন কাজ করে আবার হাওয়া ঠিকাদার। আবার বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণকাজ।

চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলমি সরকার বলেন, মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এক বছর পার হলেও নির্মাণকাজ শুরু না হওয়া দুঃখজনক। তবে আমি নিজেই ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঠিকাদার আমাকে জানিয়েছেন খুব দ্রুত মডেল মসজিদের কাজ শুরু করা হবে।

চিরিরবন্দর ইসলামি ফাউন্ডেশন ফিল্ড সুপার ভাইজার খালিদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা মডেল মসজিদে কাজ দেরি হওয়ার কারণ প্রথম দিকে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ছিল। পরে ঠিকাদারের গাফিলতি কারণে কাজ শুরু করতে পারিনি। নতুন দরপত্রের মাধ্যমে যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তারা বর্ষার মৌসুমে কাজ শুরু করে। বর্ষায় পানি বেশি হলে কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। কয়েকবার ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ওনার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত কাজ শুরুর জন্য ইতোমধ্যে কারেন্ট লাইনের কাজ ও টিন দিয়ে ঘেরার জন্য শ্রমিকরা কাজ করছে।

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একে এম শরিফুল হক বলেন, আমি নতুন এ উপজেলায় যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই আমি গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুর ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারা দ্রুত মডেল মসজিদের কাজ শুরু করবে এবং সময়মতো কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন।

গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথম দরপত্র বাতিল করে গত জুন মাসে নতুন দরপত্রের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। চিরিরবন্দরের যে স্থানটিতে মসজিদটি নির্মাণ হচ্ছে সেখানে বর্ষার পানি জমে থাকে তাই কাজ শুরুর পর ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। এখন বর্ষাকাল শেষ হওয়ায় আমাদের লোকজন সেখানে গেছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। আগামী ২৪ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।

ইমরান আলী সোহাগ/আরকে