শিমুলিয়াঘাটে বেড়েছে ঘরমুখী মানুষের চাপ

আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণায় শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ যাতায়াত বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

ফেরিতে গাদাগাদি করে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন। তাছাড়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও স্পিডবোটেও পার হচ্ছেন। এতে তাদের নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি দিতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই শিমুলিয়াঘাটে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষের। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে ঘাটে ঘরমুখী দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। গত রোববার সকালে ঢাকামুখী মানুষের চাপ থাকলেও বিকেল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলমুখী মানুষের ভিড় ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে চাপ অনেক বেশি বেড়ে যায়। সারাদিনই ঘাটে যানবাহন ও মানুষের ভিড় ছিল। তবে আজ ভিড় সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে। ঘাট ও সড়কে ১ হাজার যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চলছে

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ যাতায়াত বন্ধ আছে। স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা চলছে। স্বাভাবিক সময়ে ট্রলারে অল্প যাত্রী পারাপার হলেও সোমবার থেকে ট্রলারবোঝাই করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছিলেন চালকরা।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ এতো বেশি যে, কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। রোরো, ডাম্প, মিডিয়াম, কে–টাইপসহ ১৪টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে চলছেন সবাই।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের উপমহাব্যবস্থাক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ পড়েছে। যাত্রীদের সচেতন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

ব ম শামীম/এমএসআর