রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও আব্দুল হামিদ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দুইজন। সাবেক রাষ্ট্রপতির ছেলে ও বর্তমান সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং আব্দুল হামিদ নামে এক আইনজীবী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। 

আব্দুল হামিদ ঢাকায় আইন পেশায় নিয়োজিত। তিনি ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের থানেশ্বর গ্রামের লুৎফর রহমান ভূইয়ার ছেলে।

জানা যায়, ২০১৩ সালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় উপনির্বাচনে তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি এ আসনটি আওয়ামী লীগে দখলে। এর আগে শতভাগ হাওর অধ্যুষিত এই আসনে সাত বারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। 

এ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বলেন, আমি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকার বার শাখার কার্যকরী সদস্য। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী সংস্কৃতি ফোরামের সহ-সভাপতি এছাড়া ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য। 

তিনি বলেন, মনোনয়ন পাবো এই আশা রেখেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। নৌকার মনোনয়ন পেলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে নিয়েই ইটনা, মিঠামইন,অষ্টগ্রাম এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবো। এখানে আমরা দুজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমরা দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা সেটা মেনে নেব। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার হয়ে কাজ করব। 

ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আদিলুজ্জামান ভূঞা বলেন, আমরা শুনেছি উনি নৌকার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। উনি ৬ নং ওয়ার্ডের থানেশ্বর গ্রামের লুৎফর ভূইয়ার ছেলে। সম্ভবত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারেন তিনি।

প্রসঙ্গত, জেলার হাওর অধ্যুষিত ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এই তিন উপজেলা নিয়ে নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৪। স্বাধীনতা উত্তর এ আসন থেকে সাত সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ভাটির শার্দুলখ্যাত সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় তিনি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। তার একান্ত ইচ্ছাতেই পুরো হাওড় এলাকার চিত্র এখন পাল্টে গেছে। মিঠামইনে সেনানিবাস নির্মাণ ও তিন উপজেলা নিয়ে অলওয়েদার সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে হাওর অঞ্চলের মানুষের জীবনমান বদলে গেছে। 

২০১৩ সালে আবদুল হামিদ স্পিকার থেকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তাকে দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সে সময় তার সংসদ সদস্যের আসনটি সাংবিধানিকভাবে শূন্য হলে বড় ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ওই আসনে উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/আরএআর