মাদারীপুরের শিবচরে নাদিয়া (১৮) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের যাদুয়ারচর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত নাদিয়া ওই এলাকার মালোশিয়া প্রবাসী মহসীন ঢালীর স্ত্রী ও উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের উত্তর বাখরের কান্দি গ্রামের নোয়াব হাওলাদারের মেয়ে। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের বাবা নোয়াব আলী হাওলাদার বাদী হয়ে শিবচর থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

থানায় অভিযোগ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মাস আগে পারিবারিকভাবে উপজেলা যাদুয়ারচর গ্রামের মহসীন ঢালীর সঙ্গে বিয়ে হয় নাদিয়ার। বিয়ের পর থেকে নাদিয়ার স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। কিন্তু পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে তার শ্বশুর-শাশুড়ীর ঝগড়া হতো। আজ দুপুরে বন্ধ ভেতর থেকে বন্ধ ঘরের আড়ার সঙ্গে নাদিয়ার ওড়না পেচানো  ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের লোকজন নাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে শিবচর থানা পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশের একটি দল নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। মরদেহটি বর্তমানে শিবচর থানায় রয়েছে। 

নাদিয়ার মা বাতাসী বেগম বলেন, ওর বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হতো।আজ খবর পেয়ে ওখানে গিয়ে দেখি মা আমার মরে গেছে। ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। 

নাদিয়ার মামা হাফিজুর রহমান বলেন, আমি খবর পেয়ে ওর শ্বশুরবাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে যা দেখতে পেলাম তাতে মনে হয় না ও আত্মহত্যা করেছে।তাছাড়া ও ৭ মাসের গর্ভবতী। সে কেন আত্মহত্যা করবে? আমি এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষ সুষ্ঠু বিচার চাই।

নিহতের বাবা নোয়াব আলী হাওলাদার বলেন, আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করা হতো। তাদের নির্যাতন সহ্য না করতে পেয়ে সে আত্মহত্যা করছে। আমি তাদের বিচার চাই। 

শিবচর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও সেকেন্ড অফিসার মোদাচ্ছের হেসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি।ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এটা আত্মহত্যা না হত্যা ময়নাতদন্তের  রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। 

রাকিব হাসান/আরকে