রাজবাড়ীতে এমপি প্রার্থী দুই ভাইয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর রাজবাড়ীতে দুই ভাইয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজবাড়ী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কাজী কেরামত আলী ও তার আপন ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর সমর্থকদের মধ্যে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোয়নয় প্রত্যাশী ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও তার আপন ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। গতকাল রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আ.লীগ। এতে রাজবাড়ী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক জরুরি সভার আহ্বান করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। সভায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, রাজবাড়ী বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এছাড়া রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রাজবাড়ীতে আসেন রাজবাড়ী-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলী। তিনি দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছালে দুই ভাইয়ের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী নেতাকর্মীদের শান্ত করে বলেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার কারণে আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। আপনাদের এই ভালোবাসাই আমার শক্তি ও সাহস। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য দল যেহেতু শিথিল অবস্থানে। সব দিক বিবেচনা করে আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আমরা পারিবারিকভাবে দুই ভাই বসে আলোচনা করে তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাজী ইরাদত আলী সময় চান।
পরে কাজী কেরামত আলী বলেন, নৌকা প্রতীক নিয়ে আসা চ্যালেন্জিং ছিল। কিন্তু সেটা আমরা কাজী পরিবারের মধ্যে নিয়ে এসেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তার পক্ষে সবার কাজ করা উচিত।
মীর সামসুজ্জামান/এমএএস