নোয়াখালীর চাটখিলে চাঞ্চল্যকর শিশু ফেহা আক্তার (৭) হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছেলে মিজানুর রহমান সেন্টু (৩৮) ও তার বাবা আব্দুস সাত্তারকে (৭০) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ১৫ দিন আগে আসামি সেন্টুর মেয়ে তানহার (৭) সঙ্গে ফেহার খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয়। এ ঝগড়ার জের ধরেই গত রোববার বিকেলের দিকে ফেহাকে ডেকে নিয়ে যায় ঘাতক সেন্টু। এক পর্যায়ে সে ফেহাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর (রোববার) রাত সাড়ে ১০টায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের যশোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে নিহত ফেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর (সোমবার) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। 

নিহত ফেহা আক্তার ওই গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল। 

সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম স্যারের পরিদর্শন শেষে নিহতের বাবা ফারুক হোসেন একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করি। এই ঘটনার অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের জন্য পুলিশ কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি মিজানুর রহমান সেন্টুর (৩৮) স্ত্রী সেলিনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তিনি তার স্বামী মিজানুর রহমান সেন্টু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ঘাতক সেন্টুর মেয়ের সঙ্গে মারামারি জের ধরেই শিশু ফেহা আক্তারকে নির্মমভাবে খুন করা হয় বলে জানা যায়।

হাসিব আল আমিন/আরকে