কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা ও হামলার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ বলেন, আমি আমার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করলে নৌকার প্রার্থী কমলের সমর্থকরা হঠাৎ আমার ওপর চড়াও হয়। ওরা আমার মনোনয়ন জমা প্রদানে বাধা দেয়। আমার গুরুত্বপূর্ণ কাগজগুলো ছিনতাই করার চেষ্টা করে। শুরু থেকে তারা আমাকে গতিরোধ করার চেষ্টা করে। ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন। আ.লীগ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে অনেক আগে। হঠাৎ তার এতো সমর্থক কোথায় থেকে এলো আমার প্রথম প্রশ্ন? এই থেকে বোঝা যায় এটি তার পরিকল্পিত একটি ঘটনা। ঘটনার সময় প্রচণ্ড হট্টগোল ও মারমুখী আচরণের কারণে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে মনোনয়ন জমা না দিয়ে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হই। এবং আমার সমর্থকদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। রির্টারিং কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে রাজনৈতিক স্লোগান ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা ও হামলার ঘটনা প্রমাণ করে উক্ত প্রার্থী আগামী দিনগুলোতে কি আচরণ করবে? আমি এই ঘটনার নেপথ্যের নায়ক ও উশৃঙ্খল অনুসারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

একই অভিযোগ তুলে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. সানাউল্লাহ বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে তিনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ফিরতে দেরি হয়ে যায়। যার কারণে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট পেরিয়ে যায়। তাই আমার মনোনয়ন পত্র জমা নেন নাই।

জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল করিম বলেন, মহেশখালী থেকে আমার সমর্থক ও প্রস্তাবকারী আসার সময় মাঝপথে ট্রলার নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে আমি নির্ধারিত সময়ের পরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) মোহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, কিছু প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে কয়েক মিনিট বিলম্ব করেন। এজন্য তাদের মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়নি। আপনার সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এমন প্রশ্ন করলে সেটার উত্তর দেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

এ বিষয়ে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরোয়ার কমলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাইদুল ফরহাদ/এমএএস