বাঁ থেকে-সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী (ছবি : সংগৃহীত)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে নৌকার মাঝি সিরাজুল ইসলাম খানের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তারই ছেলে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। এছাড়া, বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে এই নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ নেতা।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দাখিল করা মনোনয়নের তালিকার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন ১৬ জন প্রার্থী।

বগুড়া-৩ আসনে নৌকা পাওয়া সিরাজুল ইসলাম খান আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। এছাড়া, তিনি দীর্ঘদিন আদমদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। 

ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিলের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন সিরাজুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটি গঠন হলে সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। 

এর এক বছর পরে এই কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা করেন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান। এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান তার ছেলে সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। এর আগে তাকে কোনো কমিটিতে দেখা যায়নি। সর্বশেষ দ্বাদশ নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম নৌকার প্রার্থী মনোনীত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে নামেন তার ছেলে সাইফুল্লাহ আল মেহেদী।

এছাড়া, আসনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আরও চার আওয়ামী লীগ নেতা। তারা হলেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অজয় কুমার সরকার, সহ-সভাপতি এরশাদুল হক টুলু, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ ও আওয়ামী লীগের সমর্থক জামিলুর রশিদ তালুকদার।

বগুড়া-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ৯১১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ২৫৬ জন। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭টি।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। এর মধ্যে বগুড়ায় বাছাইয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে ৩ ডিসেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/কেএ