নাটোর-৪  (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী একই আসনে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন পাওয়া আলাউদ্দিন মৃধাকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়েছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন মৃধা বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদে তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পথে বনপাড়ায় উপজেলা চত্বর গেটের কাছে পৌঁছালে ‌আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এ সময় সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এগিয়ে এসে আলাউদ্দিন মৃধাকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময়ের একপর্যায় গালে চুমু দেন। পরে আলাউদ্দিন মৃধাও তাকে পাল্টা চুমু দেন। এ সময় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থকরা ‘লাঙ্গল, লাঙ্গল’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগের সৃষ্টি গণতন্ত্র থেকে। আওয়ামী লীগ অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যেও নির্বাচন করেছে। কোনো নির্বাচন আওয়ামী লীগ বাদ দেয়নি। কিন্তু এখন কিছু হলেই অনেকে বলে নির্বাচনে যাব না। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য। ওইদিন তার (আলাউদ্দিন মৃধার) সঙ্গে দেখা হয়েছে, সে আমার ক্লাসমেট, তাকে জড়িয়ে ধরেছি, তার গালে আমি চুমু খেয়েছি। এইটা আমার ভালোবাসা। এর ফলে ভোটে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রার্থীরাও উৎসাহিত হবে বলে মনে করি। 

জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন মৃধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তার (সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী) সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময় হয়। এটাকে আমি পজিটিভলি দেখি। কেননা এতে দুজনের ভালো সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ আস্থা পেয়েছে যে তারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেন সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এ সময় হঠাৎ নিজ সমর্থক বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস উল আলমের গালে থাপ্পড় দেন এমপি সিদ্দিকুর রহমান। থাপ্পড় মারার পরও এমপির আনন্দ উল্লাসের একটি ভিডিও সেসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

গোলাম রাব্বানী/আরএআর