কেন্দুয়া থানা পুলিশ

ভয় দেখিয়ে কিশোরী মেয়েকে দীর্ঘ দিন ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কুণ্ডুলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত বাবা উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ওই গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, ধর্ষণের শিকার কিশোরী মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) থানায় ছুটে এসে বাবার বিরুদ্ধে জবানবন্দি প্রদান করে। এ সময় মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে রাতে বাবাকে আটক করা হয়।

এদিকে বাবাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ধর্ষণের শিকার মেয়েকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ভাই জানান, তারা তিন ভাই ও এক বোন। তাদের বাবা রাজমিস্ত্রি। তিনি দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম মায়ের দুই ছেলে ও দ্বিতীয় মায়ের এক ছেলে, এক মেয়ে। কাজ করার সুবাদে তারা সকলেই ঢাকার গাজীপুরে থাকতেন।

তিনি আরও জানান, মা গার্মেন্টস কর্মী। সব ভাই শ্রমিক হওয়ায় বোন বাসায় একাই থাকত। সেই সুযোগে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবা দীর্ঘদিন ধরে বোনকে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণ করে আসছিলেন।

তিনি জানান, দুর্ঘটনায় বাবার পায়ে রড লাগানোর পর গত ঈদে পরিবারে নিজ গ্রামে কেন্দুয়ায় চলে এসেছি। গত ১১ এপ্রিল রাতে বোনকে দোকানে নেওয়ার কথা বলে ধানক্ষেতে নিয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বাবা। পরে বোনটি বাড়ি এসে আত্মহত্যা করবে বলে কান্না করে।

মেয়েটির ভাই জানান, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে বাবা আবারও বোনটির কাছে গেলে সে সবাইকে তার এসব কর্মকাণ্ড জানিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা বোনটিকে বেধড়ক মারধর করেন।

এ সময় কৌশলে পালিয়ে বোনটি কেন্দুয়া থানায় চলে যায়। তার সঙ্গে আমরাও গিয়ে বিষয়টি অবগত করলে রাতেই বাবাকে বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

জিয়াউর রহমান/এমএসআর