দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীকে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান গাইবান্ধা সহকারী জজ (ফুলছড়ি) ওবায়দুল হক রুমি এ নোটিশ দেন।

দুজন হলেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত এমপি প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারী।

পৃথক নোটিশে বলা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা নম্বর ২৯, গাইবান্ধা-১ নম্বর (সুন্দরগঞ্জ উপজেলা) সংসদীয় আসনে একজন পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর গত ৩০ নভেম্বর সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার সময় তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সহস্রাধিক নেতাকর্মীর একটি মিছিল নিয়ে আসেন। শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

এ ছাড়াও মিছিলের মাধ্যমে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন এবং এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৮(খ), বিধি ১০(ক) এবং বিধি ১২ নং-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। 

নোটিশে রোববার (৩ ডিসেম্বর) ওই দুই এমপি প্রার্থীকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিসেস আফরুজা জানান, আচরণ বিধি লঙ্ঘন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটে নাই। রোববার সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করবো।

জাতীয় পার্টি মনোনীত এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমি ৩০ তারিখে পায়ে হেটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম। ওই সময় আশপাশ থেকে অসংখ্য লোক জড়ো হয়, আমরা হেটে মনোনয়ন জমা দিতে উপজেলা পরিষদের গেট পর্যন্ত যাই। এসময় আমি গেটটা বন্ধ করে দিতে বলে মাত্র ৫ জন নিয়ে ইউএনও অফিসে গিয়ে আচরণ বিধি মেনে মনোনয়ন জমা দেই। এখানে কোনো মোটরসাইকেলের র‍্যালি ছিল না, কোনো গাড়ি ছিল না। এখানে জনজীবনের কোনো বিপর্যয় হওয়ার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। সারা বাংলাদেশে সবাই এরকম পায়ে হেটে শত শত হাজার হাজার লোক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এ কারণেই যদি আমাকে শোকজ করা হয় তাহলে সহস্রাধিক প্রার্থীকে শোকজ করা উচিৎ।

এমএসএ