শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। কিন্তু স্বাক্ষর করা ভোটাররা স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মনোয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের সই জমা দিতে হয়। কিন্তু শরীয়তপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলীর জমা দেওয়া ভোটারদের সই ত্রুটিপূর্ণ। এ কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার বিষয়ে শরীয়তপুর-১ আসনের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, যোগ্যতাকে গলা টিপে ধরতেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে অন্যায় বিচার করা হয়েছে। আমি আপিল করব, আশা করছি আপিল বিভাগে ন্যায়বিচার পাব। 

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভয় পেয়েছে বলেই আমার সঙ্গে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে মনোনয়নপত্র বৈধ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব আমি। আমার প্রচার প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।

ধারণা করা হয়েছিল, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু তার আগেই ডা. খালেদ শওকত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেল।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের তিনটি আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২২ জন। এর মধ্যে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে ৬ জন, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে ১১ জন ও শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা, গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ) আসনে ৫ জন। ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে দলীয় ছিলেন ২০ জন ও স্বতন্ত্র ছিলেন দুই জন। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর মনোনয়নই বাতিল করা হয়েছে। 

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের চলতি মাসের ৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

সাইফুল ইসলাম/জেডএস