নোয়াখালী- ১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সদ্য সাবেক সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আর আমিনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। 

রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে খন্দকার আর আমিনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

এর আগে, গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার আর আমিনের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপরের দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেনের কাছে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন তিনি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী- ১ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে ভোটার তালিকায় তথ্যের গরমিলের দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এছাড়া, আসনটিতে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদ মোহাম্মদ তুষারের মনোনয়নও একই কারণে বাতিল করা হয়।

এ বিষয়ে, খন্দকার আর আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি আপিল করব। আমার ভোটাররা দেশে থাকলেও তারা বলছে আমার ভোটাররা প্রবাসী। আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ১০ জন ভোটারের মধ্য চারজন ভোটারকে না পাওয়ার কারণে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, নোয়াখালীর ৬টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। বাকি ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো যৌক্তিক কারণেই বাতিল হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/কেএ