দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বামী-স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মুনিয়া আফরিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। 

নজরুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি  স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী এছাড়াও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির মনিকা আলম, তৃণমূল বিএনপির কে এম জাহাঙ্গীর মাজমাদার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু বকর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিছুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিহাবুজ্জামান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাললিস্ট ফ্রন্টের ( বিএনএফ)  আবু বকর ও স্বতন্ত্র প্রাথী শিহাবুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, ঝিনাইদহ-১ আসন শৈলকুপা থেকে ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, নজরুল ইসলাম ও মুনিয়া আফরিন দুজন স্বামী-স্ত্রী। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বৈধতা পেয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলীয়ভাবে তাকে মনোনয়ন না দেওয়া হলেও তাকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে কোনো বাধা দেয়নি  দলের নেতৃবৃন্দ। সে কারণে তিনি ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন। 

তিনি আরও জানান, তার মনোনয়ন তিনি নিজে উত্তোলন করেন এবং তার স্ত্রীও একই আসন থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেছিলেন। তবে তিনি সেটি জানতেন না। পরে জানতে পারেন। সোমবার মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে দুজনের মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ভোটযুদ্ধে মাঠে থাকব। এ কারণে নিয়মিত ভোটারদের সমর্থন আদায়ে তাদের সাথে মতবিনিময় করছি। স্ত্রীর সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের পর স্ত্রী মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন কিনা তা জানা যাবে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর