ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বর্দী গ্রামে রাতের আঁধারে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। দুই পক্ষের তাণ্ডবে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ ব্যক্তি। এ সময় ১৫টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার বিকেল পাঁচটা) এলাকায় এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গুরুতর আহত আবু মোল্লা, ইকরাম মোল্লা, বাবুল মোল্লা, আল-আমিন মাতুব্বর, সালেহা বেগম, তরিকুল হাওলাদার, সালাউদ্দিন, দেলোয়ার মাতুব্বর, রাব্বি মাতুব্বরকে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বর্দী গ্রামের পিকুল মাস্টার ও পার্শ্ববর্তী রেজাউল করিমের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিকুল মাস্টারের পক্ষ নিয়ে খারদিয়া গ্রাম, হাজরাকান্দা গ্রাম ও রাজেশ্বর্দী গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউল করিমের বাড়িসহ ১০টি বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে।

তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিকুল মাস্টারসহ তাদের সমমনাদের আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করে। মামলার পর পিকুল মাস্টারের লোকজন এলাকাছাড়া হয়ে গেলে রাতে রেজাউল করিমের লোকজন পিকুল মাস্টারের বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে। উভয় গ্রুপের ১৫টি বাড়িতেই ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা রেজাউল করিমের ও পিকুল মাস্টারের বাড়ির দামি দামি আসবাবপত্র, স্বর্ণ, ও টাকাসহ বেশ কয়েকটি গরু লুট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে একটি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি টিভি, আলমারি, ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল, ঘরের দরজা, টিনের বেড়া, বৈদ্যুতিক মিটারসহ দামি জিনিসপত্র ভেঙে চুরমার করা হয়েছে বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বি কে সিকদার সজল/এনএ