কুমিল্লায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকারের বিরুদ্ধে।  

গতকাল মঙ্গলবার দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ বক্তব্য দেন লিটন সরকার। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) লিটন সরকারের হুমকির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পরে বিষয়টি নজর কাড়ে সবার। 

২ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে লিটন সরকারকে বলতে শোনা যায়, ‘বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে, কিন্তু রাজী ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই। রাজী ফখরুল তো পরের কথা আগে আমাদের থাবা থেকে বাঁচ ! আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম, আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা জামানত থাকত না। আমার আর আবু কালামের এক সেন্টার, আয় তোর ক্ষমতা থাকলে, তোর ইউনিয়নে পারলে আমার সামনে দাঁড়া।’

বক্তব্যে লিটন সরকার আরও বলেন, ‘আমি আজকে বলতে চাই, তুই কত বড় সেনা হইছত কত বড় গুন্ডা হইছত। এই আবু কালাম তুই কবে ছাত্রলীগ করছত, কবে যুবলীগ করছত, কবে আওয়ামী লীগ করছত? নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করতাছত। তুই এটা বুজছ না কোনটা ডামি প্রার্থী কোনটা স্বতন্ত্র প্রার্থী আর কোনটা বিদ্রোহী প্রার্থী, তুই তো বিদ্রোহী প্রার্থী, মূর্খের মতো মূর্খ ব্যাখ্যা দিস। আমি তোর বাড়িতে গিয়া তরে ধরমু। মুখ খারাপ করে লাভ নাই। তোর রাজী মুন্সীর..(আপত্তিকর শব্দ) আলগি দেওয়ার ক্ষমতা আছেনি। এটা সিম্পল বিষয়। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পৈত্রিক যা সম্পত্তি আছে এটার কোনোডা কেনার মতো তোর ক্ষমতা নাই, তুই তো ছাগলের আট নম্বর বাচ্চা।’

আপত্তিকর শব্দ আর হুমকি ধমকিতে ভরা ভিডিওটি এখন দেবীদ্বারসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার মানুষের ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। 

এ বিষয়ে জানতে বক্তব্য দেওয়া কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকারকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা নেই। কিন্তু যেভাবে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

আরিফ আজগর/এমএ