ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সৌরভ মালো (২০) নামে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ভাঙ্গা বাজার সংলগ্ন কুমার নদের সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সৌরভ মালো ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মাঝিকান্দা গ্রামের স্বপন মালোর ছেলে। সৌরভ ফরিদপুর শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহরের গোয়ালচামট মহল্লা এলাকায় মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারে একটি মাছের আড়তে খণ্ডকালীন চাকরি করে পড়াশোনার খরচ চালাতেন।

সৌরভের বাবা স্বপন মালো জানান, সৌরভ গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নেমে তার মাকে মুঠোফোনে জানায়, অটোতে উঠেছে, বাড়িতে আসছে। ভাঙ্গা থেকে মাঝিকান্দার দূরত্ব সর্বোচ্চ ৭ কিলোমিটার।

স্বপন মালো আরও জানান, রাত ১০টায়ও বাড়িতে না পৌঁছায় তারা চিন্তায় পড়ে যান। এরপর সৌরভের মুঠোফোনে তার মা কল দিলে রিং হলেও রিসিভ না করায় চিন্তা আরও বাড়ে। এরপর রাতেই বাড়ির লোকজন ভাঙ্গায় এসে খুঁজতে থাকেন। বিষয়টি ভাঙ্গা থানা পুলিশকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও ভাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় খুঁজেও সন্ধান পাওয়া যায়নি সৌরভের।

আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ভাঙ্গা বাজার এলাকার লোকজন কুমার নদে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ভাঙ্গা থানায় খবর দেয়। পুলিশ সৌরভের স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা এসে মরদেহটি সৌরভের বলে শনাক্ত করে।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুত সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহের সঙ্গে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণের আংটি সবই রয়েছে। তবে মরদেহের মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও ফরিদপুর শহরে ছিনতাইকারীর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত হন রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র প্রান্ত। এরপর হত্যার শিকার হন একই কলেজের ছাত্র তুরাগ।

জহির হোসেন/এমজেইউ