দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এসব আপিল আবেদনের ওপর শুনানিতে আপিলের রায়ে বিশ্বনাথ সরকার বিটু প্রার্থিতা ফিরে পান।

এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবরে মিষ্টি বিতরণ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় এই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে দলের যে কারও প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এ কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু আমার প্রার্থিতা বাতিলের খবরে বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকদের অনুপ্রেরণায় আমি ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আমার থেকেও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ বেশি আনন্দিত হয়েছে। ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও আসনটি নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) উপহার দিতে পারব।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে ৬ জন মনোনয়ন জমা করেছিলেন। রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু ও সুমনা আক্তার লিলি। আর অন্যজন বিএনএফ মনোনীত জিল্লুর রহমান। সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের তালিকা সঠিক না থাকায় এই তিনজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম মণ্ডল ও জাকের পার্টির আশরাফ উজ জামানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।  

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ