ফরিদপুর-৩ আসন
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার মো. আলমগীর প্রধানিয়ার ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোহরাব শেখ ও তার সহযোগীরা
এ ব্যাপারে কানাইপুরের রায়কাইল গ্রামের মো. আলমগীর প্রধানিয়া (৩০) বাদী হয়ে রোববার ফরিদপুর কোতায়ালী থানায় সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোহরাব শেখসহ নয় জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগে বলা হয়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ইয়াছিন বেপারীর চায়ের দোকানে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে তাদের ওপরে দেশীয় রামদা, লাঠি, হকিস্টিক দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা দোকানপাটে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আহতদের দাবি, তারা ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থক। আর এ কারণেই তাদের ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ফরিদপুর ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক।
বিজ্ঞাপন
মো. আলমগীর প্রধানিয়া বলেন, আমি ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জননেতা এ কে আজাদের সমর্থনে এ এলাকায় কাজ করছি। আমাকে এ আসনের নৌকার প্রার্থী শামিম হকের পক্ষে কাজ করতে সাবেক মেম্বার ছোহরাব শেখ নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন। আমি আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছি এটা জানতে পেরে গত রাতে চা খাওয়া অবস্থায় আমার ওপর হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা বলে, আমি যেন আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করি এবং যারা আজাদ সাহেবের নির্বাচন করবে তাদের মেরে হাড়গোড় ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
অভিযোগ সম্পর্কে সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ছোহরাব শেখ জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মো. আলমগীর প্রধানিয়া এ কে আজাদের পক্ষে সবাইকে চা খাওয়াচ্ছিলেন। আমি সেটা নিষেধ করায় আমার সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এ ছাড়া আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ফরিদপুর কোতায়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ সময় উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা হয়। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জহির হোসেন/এএএ