বাসের চাপায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল পারভেজ নিহতের ঘটনায় আটক সেলফীর ২৫ বাস ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, সোমবার সেলফী পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফিসহ কয়েকজন আলোচনায় বসেন। পরে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে সেলফী বাস কর্তৃপক্ষ দিয়েছে ৮ লাখ। আর সরকারিভাবে দেওয়া হবে  ৫ লাখ। মোট ১৩ লাখ টাকা পাবে নিহতের পরিবার। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ৮ লাখ টাকা নগদ ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আর সরকারি ফান্ড থেকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। ৮ লাখ টাকা নিহত রুবেলের ভাই এবং শ্যালকের কাছে দেওয়া হয়েছে।

সেলফি পরিবহনের ব্যবস্থাপক পরিচালক (এমডি) জালালউদ্দিন বলেন, আমরা আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেছি। নিহত রুবেলের বাচ্চার ভরণপোষণের দায়িত্বও নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থল মানিকগঞ্জের মার্কেন্টাইল ব্যাংকে যাওয়ার জন্য ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুবেল পারভেজসহ তিনজন। এ সময় সেলফী পরিবহনের দুটি বাস প্রতিযোগিতা করে যাওয়ার সময় একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাবির সাবেক শিক্ষার্থী রুবেল পারভেজ ও আব্দুল মান্নান নামের একজন মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহত হন আরও একজন। এ খবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরি গেটে সেলফী পরিবহনের বাস আটক করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে একে একে ২৫টি বাস আটক করেন তারা। পরদিন রুবেলকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে ঘটনার বিচার ও নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে পাঁচদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেলফী পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা।

আরকে