লালমনিরহাটে বুড়িমারী স্থলবন্দরে সার্ভার জটিলতার কারণে অনলাইনে কোনো সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ পোর্ট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। ম্যানুয়ালি কাজ করতে গিয়ে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, এ পথ দিয়ে ভারত ভ্রমণকারীদের সকল তথ্য কাগজে-কলমে নোট করতে হচ্ছে এখন। এতে সময়ক্ষেপণের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া সার্ভার জটিলতায় কোনো দাগি অপরাধী দেশত্যাগ করে কি না, এ নিয়েও চিন্তিত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। যদিও সতর্কাবস্থায় রয়েছেন তারা। তবে দ্রুত সময়ে ঢাকা থেকে ঠিক করতে বা নতুন বিশেষ কম্পিউটারে (পিসি) সার্ভার ইনস্টল করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইমিগ্রেশনে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ যাত্রীর ব্যাপক ভিড়। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রী ছাড়াও ভারতগামী বাংলাদেশের লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে যান।

এ ঘটনা পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ঢাকার প্রকৌশলীদের জানানো হয়। প্রকৌশলীরা তথ্য-উপাত্ত ঘেটে জানায়, বুড়িমারী ইমিগ্রেশনে সংযুক্ত পিসি সমস্যার কারণে সার্ভারে কাজ করছে না। দ্রুত ঢাকায় এনে ঠিক করতে হবে। নতুবা নতুন বিশেষ পিসি সার্ভার ইনস্টল করতে হবে। ওই দিনই বুড়িমারী ইমিগ্রেশনের পিসি ঢাকায় পাঠানো হয়। শত শত যাত্রীদের পারাপারে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অনুমতি সাপেক্ষে ম্যানুয়ালি পাসপোর্টের নম্বর ও তথ্য নোট নিয়ে যাত্রী পারাপার সচল করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ম্যানুয়ালি কাজ করলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী ব্যক্তির প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ এবং এয়ারপোর্ট ঢাকার প্রকৌশলীদের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট নম্বর পাঠিয়ে ব্যক্তি ব্লাক লিস্টে আছে কি না বা কোনো আপত্তি আছে কি না এসব যাচাই করে সবুজ সংকেত বা ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই পারাপারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এতে একটু সময় বেশি লাগছে।

বুড়িমারী ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মুর হাসান কবির বলেন, প্রত্যেকের তথ্য কাগজে-কলমে লিখিতভাবে এন্ট্রি করা হয়েছে। তিন দিনে এক হাজারের বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এ পথে পারাপার হয়েছেন। সার্ভার সমস্যা সমাধান হলে ওইসব তথ্য আবার অনলাইনে আপডেট করা হবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এএএ