নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাহমুদা বেগম ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আহসান তালুকদারের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদা বেগম বলেন, ‘কোনো চাপ-ভয় কিংবা প্রলোভনে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করিনি। আমার বড় ভাই, রাজনৈতিক গুরু, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সংগ্রামী নেতা রহমান ভাই। নৌকার সমর্থনে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রথমে একটি লিখিত বক্তব্য পাড়ে শোনান। তাতে তিনি বলেন, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা, জাতীয় পার্টি, বিএনএম ও স্বতন্ত্র পার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে পড়েছে। আমার লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করা। নৌকার বিরুদ্ধাচারণ করা নয়। আমি ৩৫ বছর ধরে নৌকারই যাত্রী। সুতরাং এই মুহূর্তে নৌকার ভোটারদের বিভক্ত না করে নৌকাকে বিজয়ী করাটাই আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব এবং সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে আমার বড় ভাই রহমান ভাইয়ের সমর্থনে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন করলে আমি জয়ী হতাম, হেরে যেত নৌকা। আমি দলকে হারাতে চাই না তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে আমার ভোটগুলো নৌকার পক্ষে দেব।

মাহমুদা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিলে গত ৪ ডিসেম্বর বাছাইকালে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি ।

‘নির্বাচন করবেন না তবুও কেন আপিল করলেন’ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই এ বাতিল হলে আমি অযোগ্য প্রার্থী হয়ে যেতাম। আমি যে অযোগ্য প্রার্থী নই এজন্য আপিল করে আমার প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। এখন আমি নৌকার সমর্থনে সরে দাঁড়ালাম।

এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, সহসভাপতি ডিউভি সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভীন ইসলাম ও নাসিমা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জহির হোসেন/আরকে