গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই স্থানীয় পাঁচটি সংসদীয় আসনের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে শোডাউন করেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বেলা সোয়া ১২টায় স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীকে নিয়ে তিনি গাজীপুর রাজবাড়ী মাঠে উপস্থিত হন। এ সময় স্থানটি লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। রাজবাড়ী মাঠ থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে নেতাকর্মীরা শোডাউন দিতে থাকেন।

তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- গাজীপুর-১ আসনের রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ আসনের কাজী আলিম উদ্দিন এবং গাজীপুর-৫ আসনের ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান। 

বিকেলে গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের একটি রিসোর্টে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আখতারউজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র। তিনি বলেন, ‌‌জনগণকে যারা সম্মান করবে তাদের জনপ্রতিনিধি হওয়া দরকার। আজ দেখেন সব আওয়ামী লীগ এক হয়েছে। যারা রক্তের আওয়ামী লীগ, যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, আওয়ামী লীগের জন্য যারা জীবন দেয়, তারা আজ এক হয়েছে। 

‘‌মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন, সেই সুযোগটা আগামী ৭ তারিখে (জানুয়ারি) আমরা কাজে লাগাতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, যে গাড়িতে আগুন দেবে তার হাতে আগুন লাগাইয়া দিবা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ভোট বাক্সে যে হাত দেবে তার হাত ছেঁচে দিবা। আমরা সবাই আজ একতাবদ্ধ। কেউ হুমকি দিলে খালি নাম্বারটা দিয়ে দিবেন। চুরি আর ছ্যাঁচড়ামি চলবে না।’

‘আদর্শ লোকেরা রাজনীতি করবে, আদর্শ লোকেরা জনপ্রতিনিধি হবে। আমাদের আদর্শের ভাই আখতারউজ্জামান। তার আদর্শ ও নীতির সঙ্গে আমরা আছি। আখতারউজ্জামান ভাইকে নিয়ে প্রথম পর্যায়ে আমরা বাড়িয়া ইউনিয়নকে পৌরসভা বানাব।’

আমাদের পদচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে লাভ নাই— উল্লেখ করে সাবেক মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের আমরা সম্মান করি। কারণ, এটা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যারা মানুষকে ক্ষতি করবে না; রাষ্ট্র, সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের বিধি অনুযায়ী যারা চলবে, আমরা তাদের সাথে আছি।’

এ সময় তিনি আখতারউজ্জামানের সমর্থনে ট্রাক প্রতীকে ভোট চান। 

গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান বলেন, ‘ভোট সুষ্ঠু করতে হবে। সবাইকে ভোট দিতে আসতে হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যস্ত লাইন ধরে মা-বোনেরা ভোট দেবেন। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন— সবাই আপনাদের সঙ্গে আছেন। তারা নির্বাচনকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে গেছেন। সবকিছু এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে চলছে। আমরা আশা করি, ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকমই চলবে। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’ 

শিহাব খান/