বিয়ের পাঁচ বছর পর হেলিকপ্টারে চড়ে বরগুনার আমতলীতে শ্বশুরবাড়ি এলেন ইতালীয় নারী সিমনা। আমতলী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে প্রবাসী নাশির মাতুব্বরের সঙ্গে ইতালিতেই বিয়ে হয় তার। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে আমতলী পৌরসভার ঈদগাহ ময়দানে স্বামী নাশির মাতুব্বর ও একমাত্র ছেলে দাবিদকে নিয়ে অবতরণ করেন সিমনা। 

প্রবাসী নাশির বর্তমানে ইতালিতে গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তিনি বিদেশি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বাড়িতে এসেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পরায় তাদেরকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাশির কাজের উদ্দেশ্যে আমতলী ছেড়ে ২০০৩ সালে বিদেশে চলে যান। পরে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ২০০৭ সালে ইতালিতে যান তিনি। এ সময় নাশিরের সঙ্গে পরিচয় হয় সিমনার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পাঁচ বছর আগে তারা বিয়ে করেন। এরপর ইতালিতেই কাটে তাদের সুখের সংসার। অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর পর স্বজনদের দেখতে স্ত্রীসহ ছেলেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে আমতলীতে আসেন নাশির।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নাশির মাতুব্বরের প্রতিবেশী কাউম গাজী বলেন, নাশির দীর্ঘদিন ধরেই ইতালিতে থাকেন। অনেকবার দেশে আসলেও তার স্ত্রী সন্তানকে এর আগে নিয়ে আসেননি। এছাড়া নাশিরের আরেক ভাই নয়নও থাকেন ইতালিতে। 

নাশির মাতুব্বরের বোন মোসা. পিয়ারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাই বিয়ে করার পর মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের সাথে কথা বলেছি। এর মধ্যে নাশির অনেকবার বাড়িতে এসেছে। তবে এবার প্রথম তার স্ত্রী ও ছেলেসহ  এসেছে। তাদের একত্রে বাড়িতে পেয়ে আমরা সবাই খুবই খুশি।

এ বিষয়ে নাশির মাতুব্বর ঢাকা পোস্টকে বলেন, বয়স্ক বাবা-মাকে এবং স্বজনদের তাদের নাতিকে দেখানোর উদ্দেশ্যে স্ত্রীসহ বাড়িতে এসেছি। ওদেরকে নিয়ে এবার ২০ দিন বাড়িতে  থাকতে চাই। তবে তারা যদি বাংলাদেশের আবহাওয়া মানিয়ে নিতে না পারে তাহলে ২০ দিনের আগেই ইতালিতে চলে যাব। 

হেলিকপ্টারে এলাকায় আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী এবং ছেলে কেউ বাংলাদেশে আগে আসেনি। তাই এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থায় তারা অভ্যস্ত নয়। এ কারণেই তাদেরকে নিরাপদে রাখার কথা চিন্তা করে হেলিকপ্টারে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।  

আরএআর