দাদন খলিফা হত্যায় স্বজনদের আহাজারি

শরীয়তপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে ৭ বছর পর দেশে আসা দাদন খলিফা (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এশার নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষদের হামলায় তিনি প্রথমে আহত হন।

পরে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। দাদন খলিফা সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে।

জানা যায়, গয়ঘর গ্রামের ইদ্রিস খার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল দাদন খলিফার বাবা সেকান্দার খলিফার। কিছু দিন আগে দাদন বিয়ে করেছে। বৃহস্পতিবার মসজিদে দাদন খলিফা এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ইদ্রিস খা ও ইসকেন্দার সরদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন তাকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়।

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। প্রথমে দাদন খলিফাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে ভোর ৪টায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী রাশেদ বলেন, নামাজ পড়ে আমরা এক সঙ্গে বের হয়েছি। বের হওয়ার পর কিছুক্ষণ আমাদের সঙ্গে কথা বলে দাদন। বাড়িতে যাওয়ার পথে ইদ্রিস খা ও তার সহযোগীরা দাদনকে এলোপাথাড়ি কোপায়। আমরা দৌড়ে গিয়ে ধরতে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

দাদনের বাবা সেকান্দার খলিফা বলেন, ৭ বছর ধরে ছেলে বিদেশে থাকে। ইদ্রিস খার সঙ্গে আমার শত্রুতা থাকতে পারে কিন্তু ছেলের সঙ্গে নেই। ওরা ছেলেকে আর বাঁচতে দিল না। আমি হত্যার বিচার চাই।

পালং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বশত্রুতায় হয়তো দাদনকে হত্যা করা হতে পারে। এই ঘটনার নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। জড়িতদের ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে আনা হয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর