মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আপনার অস্তিত্ব কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একদিন শেষ করে ফেলবে। আপনাকেও ছেড়ে দেবে না। কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে এর সমাধান যদি না হয়, আপনি আসতে পারবেন না। প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে। আমার পরিবারের সদস্যদের রক্ত ঝরবে। তবু আপনাকে কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আর আসতে দেবো না।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এ সময় প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমাকে বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, আজকে আমার বিরুদ্ধে পুলিশ, প্রশাসন লেলিয়ে দিয়েছে, এটা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? আমি জানতে চাই। আপনি যতই ষড়যন্ত্র করেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। গ্রেফতার করে গুলি করে মেরে ফেলবেন? পারবেন না।

ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ব্যস্ত। তার দুর্নীতিবাজ স্ত্রী বাঁচতে পারবে না। কোনো সুযোগ নেই। আজকে গরিব কর্মীরা দুই বেলা খেতে পারে না। তাদের জেলে যেতে হয়। ওসি তাদের এখানে এনে মারধর করে। একরাম-নিজাম আর ইশারাতুন্নেসা কাদেরের সন্ত্রাসীরা আজ সব করছে। ওবায়দুল কাদের তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে কাদের মির্জা আরও বলেন, তুমি জেলে দেবে, হত্যা করবে? তোমাকে আমরা ভয় করি না। তোমার খাইও না, পরিও না। তোমার কারণে আমার একটা ভাই ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। আজ তোমার স্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তোমার শ্বশুরপক্ষের লোকজন হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আমি সবাইকে চিনি।

কাদের মির্জা বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি; খিজির হায়াত খানের নেতৃত্বে থানায় অবস্থান করছে তারা। বাংলাভাই যেমন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানায় যেত। আজ তারা অস্ত্রসহ থানায় যায়।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এর জেরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।

মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কাদের মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। 

হাসিব আল আমিন/এএম/জেএস