মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম বলেছেন, ‘বর্তমানে মা-বোনদের বাচ্চা হওয়ার আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে আগেই বুঝা যায় ছেলে নাকি মেয়ে হবে। এখন আপনারা আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন তো? ৭ তারিখের নির্বাচনের পর এই দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবে? আপনারা যদি বোঝেন শেখ হাসিনাই আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাহলে তার প্রতিনিধি নৌকা মার্কা নিয়ে যে আসছে তাকে যদি ভোট না দেন, এমপি না বানান, তাইলে এই কাম কাইজ আর হইবো না।’

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের চৈল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মমতাজ বলেন, ‘শেথ হাসিনা নৌকা দিয়েছে আমাকে। পরশু দিনও সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছেন, আমি যাকে নৌকা দিয়েছি, আপনারা সেই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। শুনছেন না টেলিভিশনে। তিনি বলেছেন- এই নৌকা নুহ নবীর নৌকা, দেশের স্বাধীনতার নৌকা, বঙ্গবন্ধুর নৌকা, আমার উন্নয়নের নৌকা। কাজেই আমরা কি নৌকার বাহিরে ভোট দিমু।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশে বিএনপির ধানের শীষে ভোট দিছে মানুষ। আর আওয়ামী লীগের মার্কা হলো নৌকা। আর এখন মানুষ একাকার হয়ে গেছে, কী আওয়ামী লীগ আর কিসের বিএনপি বুঝি না। উন্নয়ন যে করবো, আমরা তারেই ভোট দিমু। উন্নয়নের সরকার হলো আওয়ামী লীগ, আমরা উন্নয়ন করে দেখাইছি। যে কোনো দিন খাওয়ায় নাই, সেই খুব খাওয়ানী, আর যার নাচ দেখি নাই সে খুব নাচনী, আছে না কথায়।’

মমতাজ বলেন, ‘নতুন করে কিছু ট্যাহা-পয়সাওয়ালারা নামছে। আইসা কইবো আমরাও আওয়ামী লীগ করি, আমাগো বড় বড় পদ আছে। আপনারা আমাগো ক্ষুর-কেঁচি মার্কায় ভোট দেন। দেবেন নাকি? অতএব তাদেরকে ভোট দেওয়া যাবে না, দিলে উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় হতে হতে পাঁচ বছর শেষ হইয়া যাইবো। আর এখনো শেখ হাসিনা মমতাজকে চেনেন, জানেন এবং আমি একটা কথা বললে বা গান গাইলে তিনি মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আমার কথা রাখার চেষ্টাও করেন। আপনারা তো জানেন, আপনাদের এমপি কোনো কাজের পার্সেন্টেজ খায় না। কেউ বলতে পারবো না, এমপিকে বা এমপির কোনো লোককে দুই-চার পয়সা দেওয়া লাগে। আমি গান করি, পয়সা কামাই। ওটা দিয়াই চলি। যা পারি সেবা করি আর আপনাদের হক আমি আপনাদের বুঝাইয়া দেই।’

নির্বাচনী জনসভা শেষে উপস্থিত জনসাধারণের কাছে গান গেয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চান মমতাজ বেগম।

সোহেল হোসেন/আরএআর