স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় এসে তো কারও রাস্তা বন্ধ করি নাই। কারও ব্যবসা বন্ধ করি নাই। কিন্তু বিএনপি জামায়াত সরকার ক্ষমতায় এসে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ঝলম উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আমরা ক্ষমতায় আছি। কই আমরা তো কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেই নাই। বিএনপির জামায়াতের কোনো নেতাকর্মীকে হত্যা করিনাই, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করি নাই, তাদের রাস্তা-ঘাট বন্ধ করি নাই। 

মন্ত্রী আরও বলেন, তারপরের ইতিহাস আরও নির্মম। তারা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাবেক অর্থমন্ত্রী তা এম এস কিবরিয়াকে বোমা মেরে হত্যা করেছে। সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে বোমা মেরে হত্যা করেছে। মমতাজ উদ্দিনকে হত্যা করেছে। বাংলা ভাই মানুষকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখলেন, দুজন বিচারপতিকে প্রকাশ্যে বোমা মেরে হত্যা করেছেন, ১১ জন মানুষকে ঘরে তালা মেরে আওয়ামী লীগ করার অপরাধে পুড়িয়ে মেরেছেন। সর্বশেষ শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ১৭ জন মানুষকে হত্যা করলেন। আমি এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমার নির্দেশ অনুযায়ী আমার নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ একটি মিছিল করতে করতে চেয়েছিল। শুধুমাত্র এই কারণে আমার সেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে বাড়ি-ঘর ছাড়া করে দিয়েছে। আমি আমার নেতাকর্মীদের ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আমার অফিস, আমার বাসাসহ বিভিন্নস্থানে লুকিয়ে রেখে তাদেরকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। দুঃসময় দুর্দিনে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কোনো জায়গা নেই। আমি বাস ভাড়া করে করে নেতাকর্মীদের কোর্টে আনা নেওয়া করেছি, আইনি লড়াই লড়িয়েছি। এমন একটা বিভীষিকাময় অবস্থায় হতভম্ভ হয়েছিলাম। এ রকম বাংলাদেশের জন্য তো আমাদের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয় নাই। 

তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এমন বিভীষিকাময় সময় পার করে আবার যখন দেশে নির্বাচন এলো আবার বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিলেন। পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে অনিয়ম শুরু করেছিল।

মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৪ সালের মতো আবারও নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাদের সঙ্গে জনগণ নেই। কোনো অপচেষ্টায় নির্বাচন বানচাল হবে না। আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে। বিদেশি সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাবে। 

আরিফ আজগর/এমএএস