নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ফয়েজ উল্লাহর অফিসে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিঝি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেনবাগ উপজেলার ৮নং বিজবাগ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থক ফয়েজ উল্লাহ (মিস্টার) মেম্বারের নিজস্ব অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিও করা হয়। ঘটনার সময় ওখানে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নোয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমানের ভূঁইয়ার সমর্থকদের মাঝে বিগত কয়েক দিন যাবত উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই উত্তেজনা থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আমি ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। কার্যালয়টি আমি দেখাশুনা করি। বৃহস্পতিবার রাতে কাঁচি মার্কার প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি চলে গেলে একদল দুর্বৃত্ত হানা দিয়ে প্রথমে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পরে পেট্রোল ঢেলে কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চেয়ার টেবিলসহ সবকিছু পুড়ে যায়।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, বারবার এভাবে হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলির ঘটনা ঘটাচ্ছে মোরশেদ আলমের হেলমেট বাহিনী। এবার হেলমেট বাহিনীর সঙ্গে যোগ হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান রিগান। তাদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। তাদের বারবার হামলায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি শঙ্কিত।

নিজেদের অফিস নিজেরা আগুন দিয়ে নাটক সাজাচ্ছে উল্লেখ করে নোয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা তাদের সাজানো নাটক। কাঁচি মার্কার লোকজন গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে কাদরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর খলিফা তোলা এলাকায় আমার নৌকা মার্কার নির্বাচনী কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে মানিক এসব কাজ করছে।

সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নির্বাচনের মুহূর্তে এসব ঘটনা স্পর্শকাতর, তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ