সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বেলকুচি উপজেলায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন।

গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের গাবগাছি বাজার, সালদাইর বাজার, ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের মবুপুর বাজার হয়ে কলাগাছি বাজার, ধুকুরিয়াবেড়া বাজার হয়ে দৌলতপুর পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।

এ সময় নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি তার নির্বাচনী প্রতীক কাঁচি মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, পরিবর্তনের মার্কা কাঁচি মার্কা, যদি এ আসনে নেতৃত্বের পরিবর্তন চান, তাহলে কাঁচি মার্কায় ভোট দিন। উন্নয়নের মার্কা কাঁচি মার্কা। গণসংযোগকালে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রশ্নের সম্মুখীন হন, জনগণের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জনগণের অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি, আমি জাতীয়তাবাদী চেতনার লোক, বেলকুচি-চৌহালীর নির্যাতিত নিপীড়িত জনগণ জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে আছে। তারা পরিবর্তন চায়। তারা এই সংসদীয় আসন থেকে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চায়।

আপনি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদি। ১৪ সালে চৌহালী উপজেলার জনগণ শত প্রতিকূলতার মাঝেও যেভাবে আমাকে বিজয়ী করেছিল, এবারও শত প্রতিকূলতার মাঝেও বেলকুচি-চৌহালীর জনগণ আমাকে বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।

নির্বাচনী প্রচারণায় মেজর মামুনের সঙ্গে ছিলেন বেলকুচি পৌরসভার প্যানেল মেয়োর (২) এবং ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছা. স্বর্ণা পারভীন (এম.এ), বেলকুচি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতাব আলী সরকার, পৌর বিএনপি নেতা মো. জুয়েল সরকার, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য আমিনুল ইসলাম টিক্কা প্রমুখ।

মেজর মামুন সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিএনপি দলীয় সাবেক নেতা এবং চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে তিনি বিএনপির মনোনয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তবে ২০১৯ সালে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মেজর মামুনের বাবা আনছার আলী সিদ্দিকী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সাবেক রাজনীতিবিদ, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সাংসদ ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চৌহালী আসন (সাবেক সিরাজগঞ্জ-৬ আসন) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এমএএস