প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই। আর এই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ খুলনার উপকূলের মানুষের বহুদিনের দাবি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন লবণ-পানি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মো. রশীদুজ্জামান। খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি।

ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান বলেন, আধুনিক পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করবো। এ জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করবো। কয়রার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি রয়েছে।

নির্বাচিত হলেও জনগণ সব সময় পাশে পাবে উল্লেখ করে মো. রশীদুজ্জামান বলেন, আমার নেশাই হলো জনগণের সঙ্গে চলা, মানুষের সঙ্গে থাকা। মানুষ যেখানে বসে আমিও সেখানেই বসি। ওই রাস্তার পাশ দিয়ে যতগুলো চায়ের দোকান রয়েছে সেখানে বসতে বসতে চলে যাই। আনুষ্ঠানিকতা লাগে না। মানুষ আমাকে সবসময় পাবে।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশয় নেই। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যেদিন পাইকগাছায় এসেছি, সেদিন দেখেছি যারা আগে মিটিং-মিছিলে আসত না, সেই খেটে খাওয়া মানুষও চলে এসেছে। তারা আমাকে ছাড়া অন্য কোথাও মূল্যায়ন পায়নি। তাই যখন শুনেছে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছি, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন মানে তো সোনার হরিণ। তারা বলছে, আমাদের নেতা সোনার হরিণ পেয়েছে, চলো ঘুরে আসি। যে যেভাবে পেরেছে ছুটে এসেছে। একটি টাকাও আমার পকেট থেকে খরচ হয়নি। পাইকগাছা ও কয়রার মানুষ নিজেরাই এগিয়ে এসেছে।

নির্বাচিত হলে নিজের লক্ষ্যের বিষয়ে মো. রশীদুজ্জামান বলেন, উপকূলীয় মানুষের সমস্যাগুলো কষ্টদায়ক। সেই কষ্টদায়ক বিষয়গুলো সমাধান করবো। আর মোটামুটি নেত্রী (শেখ হাসিনা) এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করে দিয়েছেন। উনার রাষ্ট্র পরিচালনার ম্যাকানিজমে এই এলাকা থেকে সন্ত্রাস নির্মূল হয়ে গেছে, জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য আমার পরিকল্পনা থাকবে। বেকার মানুষদের কর্মসংস্থান করা এবং তাদের সম্পদে পরিণত করাই আমার মূল লক্ষ্য।

এমজেইউ