সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট-বিএনএম প্রার্থী আব্দুল হাকিম। আব্দুল হাকিম নোঙর প্রীঁক নিয়ে আসনটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। 

সোমাবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে চৌহালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুনের বাসভবনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের কর্মীসভায় যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আব্দুল হাকিম।  

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আব্দুল হাকিম বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম এবং আমি আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করবো। এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাঁচি প্রতীকে দলমত নির্বিশেষে সবার ভোট চান তিনি।

মেজর (অব:) আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বক্তব্যে বলেন- কিছুক্ষণ আগেও যিনি আমার প্রতিদ্বন্দী ছিলেন তিনি এখন আমাকে সমর্থন দেওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করলে আমরা সবাই মিলে সিরাজগঞ্জ-৫ তথা চৌহালী ও বেলকুচির আগামীর উন্নয়নের ভাগিদার হবো। 

খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান শহিদের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজা খাতুন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিস শিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি শহিদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ৩৮১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮০ জন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে জয়ী হন নৌকার প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। এরপর ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল মমিন মন্ডল। নির্বাচনে মমিন মন্ডল (নৌকা) পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬১ ভোট ও মো. আমিরুল ইসলাম খান (ধানের শীষ) পান ২৮ হাজার ৩১৭ ভোট।
 
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনটি থেকে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তারা হলেন- আব্দুল মমিন মন্ডল (নৌকা), আব্দুল লতিফ বিশ্বাস (ঈগল), মেজর (অবঃ) আব্দুল্লাহ আল মামুন (কাঁচি), ফজলুল হক (লাঙ্গল), আব্দুল হাকিম (নোঙ্গর) ও নাজমুল হক (গামছা)। এর মধ্যে আব্দুল হাকিম (নোঙ্গর) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় পাঁচজন প্রার্থী রইলেন।

শুভ কুমার ঘোষ/এমএএস