ফাইল ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে আটক প্রায় দশ হাজার কারাবন্দি রয়েছেন। কারাবন্দিরা ভোট দিতে চাইলে তাদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন জানাতে হতো। কিন্তু দশ হাজার বন্দির কেউই পোস্টাল ব্যালট পেপারে ভোট দিতে আগ্রহ দেখায়নি। 

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছেন। জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের চারটি অংশে বন্দি আছে প্রায় সাড়ে আট হাজার ও জেলা কারাগারে আছে ১ হাজার ৬০০ জন। 

প্রতিবারের মতো এবারও কারাগারে আটক বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয় নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারের কোনো বন্দি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি। 

এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারাবন্দিদের। তবে সচেতনতা ও প্রচারের অভাবে অনেকেই সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।  

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ ও কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, কারাগারে বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটের ভোটের বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমাদের কাছে মৌখিক কিংবা লিখিত আদেশও আসেনি। তাই বন্দিদের এ বিষয়ে আমরা কিছু বলিনি। বন্দিরাও আমাদেরকেও ভোটের বিষয়ে কিছু জানায়নি।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, এ কারাগারে ২ হাজার ৬৯৪ জন বন্দি আছে। তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। কিছু নিয়মকানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। আমরা কারাগারে বন্দিদের জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের মধ্য থেকে কেউ আবেদন করেননি।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বন্দি আছে। এ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। আমরা বিষয়টি জানানোর পরও তাদের কাছ থেকে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি।

গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের নির্বাচনে জেলায় ৫টি আসনে ৪৮৮টি পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাও আছেন। এসব যাচাই বাছাই হচ্ছে।

শিহাব খান/এএএ