সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে চলছে পুলিশের তদারকি

মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারাদেশের মতো খুলনায় চলছে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠপর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে পুলিশ।

খুলনা মহানগর ও জেলা পুলিশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের বিষয়ে নানা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ৪৭ চেকপোস্টে পুলিশের তদারকি চলছে। এর মধ্যে মহানগরে ২৬ ও জেলায় ২১ চেকপোস্ট রয়েছে।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) এহতেশামুল হক বলেন, মন্ত্রিপরিষদের জারি করা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২১ চেকপোস্টে তদারকি করা হচ্ছে।

তার দেয়া তথ্যমতে, ২১ চেকপোস্টের মধ্যে রূপসার ফেরিঘাট, সেনেরবাজার, কুদির বটতলা, রূপসা ব্রিজ, রূপসা বাসস্ট্যান্ড বাজার, তেরখাদাবাজার, দিঘলিয়ার সেনহাটিবাজার, পথেরবাজার, ডুমুরিয়াবাজার, চুকনগর, শাহাপুরবাজার, চুকনগরবাজার, ফুলতলাবাজার, যুগ্মিপাশা, বটিয়াঘাটা বাজার, দারোগাভিটা, দাকোপের চালনাবাজার, পাইকগাছাবাজার, কপিলমুনি বাজার, কয়রাবাজার ও আমাদিবাজারে পুলিশ তদারকি করছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জাহাংগীর হোসেন জানান, মহানগরীর প্রবেশদ্বারসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট ২৬ চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চলমান বিধিনিষেধে কেএমপির ৮ থানা এলাকায় ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭ মোটরসাইকেল, তিন সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ৪০৬ গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে ৮৯ মামলা দায়ের করা হয়।

জানা যায়, ৩ দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা ও অকারণে বাইরে বের হওয়ায় বিভিন্ন থানার সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ৫৫ মামলা এবং ৮২ ব্যক্তিকে ৮৫ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া বিধিনিষেধ কার্যকর করতে কেএমপির ১০ মোবাইল টিম, গোয়েন্দা পুলিশের দুটি, থানা-ফাঁড়ি এবং ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর